-->

বইঃ গাছেরা কেমনে কথা কয়? -১ম পর্ব



চারদিকে চোখ মিলে কী দেখ তুমি? সুন্দর পৃথিবীর মাঝে সবুজ ধরণী, অসংখ্য গাছপালা আর তাদের বিচিত্র বর্ণের পত্রমিতালি, মোহনীয় অঙ্গসজ্জা, চোখজুড়ানো ফুলের বাহার যেন চুম্বকের মতো টানছে তোমাকে। যদি বলি, এই গাছ তোমাকে দেখছে! হয়তোবা মাথা চুলকিয়ে, মুখ বাঁকিয়ে বিজ্ঞের মতো বলবে, ‘তা কী করে হয়?’ তবে সত্য হলো, গাছ তোমাকে দেখছে। হয়তো ভিন্ন কৌশলে, ভিন্ন উপায়ে। এটা সত্য যে, গাছ তার চারপাশের পরিবেশকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে। কে গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে? কে গাছের পাতা ছিড়ল? কে গাছের নিকট আসছে? বা কে কুড়াল হাতে গাছ কাটতে মরিয়া ? তার সব গাছ দেখতে পায়। এমনকি তুমি কোন রংয়ের শার্ট বা টি-শার্ট পড়ে গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছ তা গাছ বুঝতে পারে। তোমার বারান্দার টবের গাছ তার চারপাশ দেখতে পায় ।  এমনকি ঘড়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টব সরিয়ে নিলে টবে থাকা গাছ তা বুঝতে পারে।

উপরের বিষয়গুলো তোমার কাছে অলীক বা আষাঢ়ে গল্প বলে মনে হতে পারে। তবে এটা সত্য যে, গাছ দেখতে পায়। এই বিষয়টি তোমার কাছে স্পষ্ট হবে যখন তুমি গাছের দেখার কৌশল সম্পর্কে স্পষ্ট  ধারণা পাবে। এর পূর্বে আমাদের দর্শন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। দর্শনের ধারণা স্পষ্ট হলে তুমি নতুন বিষয় জানতে পারবে। হয়তোবা এতদিন স্পষ্ট ধারণা না থাকার জন্য নিজেকে বোকা মনে হবে। আমরা প্রতিদিনের অনেক কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখি না, যদিও বছরের পর বছর তা করে চলেছি। আমরা অনেকে প্রতিদিন তিন-চার বার খাওয়ার পরেও জানি না ‘কেন খায়’, ‘কোন পদ্ধতিতে খাবার দেহ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে?’, ‘কিভাবে খাবার থেকে দেহ শক্তি পায়?’এমনকি, কিভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালিত হয়, কিভাবে নাক দিয়ে অক্সিজেন পরিবাহিত হয় তা আমরা অনেকে জানি না। যদিও জটিল অনেক বিষয় জানার জন্য আমরা ছোট থেকে বড় হওয়া অবধি অনেক বই পড়ি। আমরা জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়।

কোনো কোনো বিষয় আমাদেরকে কৌতুহল করে, কোনো কোনো বিষয় আমাদেরকে নতুন ধারার সাথে পরিচয় করে দেয়। কোনো কোনো তথ্য আমাদের নিজেদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। আমরা ঘটনাটি বিশ্বাস করতে চাই না। হয়তোবা গাছের দর্শন অনুভূতি তোমার জ্ঞানের পরিসরে এমন বিতর্কের জন্ম দেবে। এর কারণ হলো গাছের দেখতে পাওয়াকে আমরা নিজেদের দেখার সাথে মিলাতে চাই। তবে সত্য হলো, গাছ আমাদের মতো দেখতে পায় না। গাছ তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া চশমা পড়া দাদু আর বাচ্চা শিশুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। তারা শুধু বুঝতে পারে যে পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে যাচ্ছে।

মানুষ হিসেবে আমরা নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে কম্পাঙ্কের কণা স্পষ্ট দেখতে পায় যা দৃশ্যমান আলো হিসেবে বিবেচিত। আমরা জানি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে আলোর রঙ ভিন্ন হয়। লাল, বেগুনী, নীল, সবুজ এগুলো বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ফল। একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে মানুষ দেখতে পায়। তবে গাছ মানুষের দৃশ্যমান তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমার বাইরে দেখতে পায়। গাছ অবলোহিত রশ্মির উপস্থিতি অনুধাবন করতে পারে। পাশাপাশি গাছ তার উপর আপতিত আলোর পরিমাণ (ফ্লাক্স) নির্ণয় করতে পারে। মোমবাতির আলো বা প্রচন্ড দুপুরের সূর্যের আলো বা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্যাস্তের আলোর প্রকৃতি অনুধাবণ করতে পারে। ঠিক কত সময় ধরে আলো আপতিত হচ্ছে বা কোনো বাহ্যিক প্রভাবকের কারণে আলো আপতিত হওয়া বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে তা গাছ বুঝতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।

তাহলে কী বলা যায়, গাছের দর্শন অনুভূতি আছে? এই বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে আমাদের নিজেদের দর্শন ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে হবে। তোমার চোখে কোনো ত্রুটি না থাকলে খুব সহজে বাইরের চারপাশ দেখতে পাও। যদি চোখ না থাকতো, তাহলে কেমন হতো? হয়তো তুমি স্বাভাবিক অবস্থার মতো দেখতে পেতে না। তবে দেখতে না পেয়েও অনেক বিষয় অনুধাবন করা যায়। অনেক সময় আমরা অন্ধ ব্যক্তিদের রাস্তায় হাঁটতে দেখি। এমন অনেক অন্ধ মানুষ আছে যারা সকালে ঘর থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় ঠিকই তার নিজের ঘরে ফিরে আসে। আবার দেখা যায় হাঁটতে হাঁটতে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে সে দাঁড়িয়ে যায়। একজন অন্ধ মানুষ কিভাবে তার বাহ্যিক জগত বুঝতে পারে?

আমাদের দৃষ্টিতে হয়তো সে পুরোপুরি অন্ধকার জগতে বাস করছে। তবে তার দেহে এমন কোনো কৌশল আছে যার মাধ্যমে সে দিন, রাত, আলো, আঁধার, সরল, প্রতিবন্ধকতা বুঝতে পারে। নিশ্চয়ই তার মধ্যে এমন কোনো অনুধাবন ক্ষমতা আছে। দর্শন অনুভূতি বুঝতে আমরা এমন একজন জন্মান্ধ ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করতে পারি। মনে কর কোনো একজন ব্যক্তি জন্ম থেকেই অন্ধ, তিনি পৃথিবীর কোনো কিছু তার চোখ দিয়ে দেখতে পান না। হঠাৎ বিশেষ কোনো প্রক্রিয়ায় তিনি সবকিছু দেখা শুরু করলেন। তিনি আলো এবং অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হলেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রঙের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। তিনি নীল রঙ থেকে শুরু লাল রঙের পার্থক্য অনুধাবন করতে পারেন। এককথায় এই ঘটনা তার কাছে অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে ফিরে আসার মতো। এভাবে জন্মান্ধ থেকে পৃথিবীর সবকিছু দেখার ক্ষমতা প্রাপ্তিই হলো ওই ব্যক্তির ‘দর্শন’ শক্তি।

দৃষ্টিশক্তি নিয়ে অসংখ্য মতবাদ প্রচলিত। তন্মাধ্যে মেরিয়াম-ওয়েবস্টারে প্রকাশিত দৃষ্টিশক্তির সজ্ঞা অনুযায়ী, ‘ দৃষ্টি শক্তি হলো এক প্রকার ভৌত অনুভূতি, যেখানে চোখ আলোর কণা গ্রহণ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মষিÍষ্কে প্রেরণ করে, মষিÍষ্ক বিশেষ প্রক্রিয়ায় গৃহিত আলোর কণার আলোকে বস্তুর একটি অবয়ব বা চিত্র তৈরী করে যা আমরা দেখতে পায়।’ দেখতে পাওয়ার সাথে আলোর এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যে আলো দেখতে পায় তা মূলত ‘দৃশ্যমান বর্ণালী’। একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরিৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হলো দৃশ্যমান আলো যা আমরা দেখতে পায়। এর কম বা বেশি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ প্রকৃতিতে বিদ্যমান যা আমাদের চোখে স্পষ্টভাবে ধরা দেয় না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে ভিন্নতার কারলে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। অপরদিকে দৃশ্যমান আলোর মধ্যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ভিন্নতার কারণে আলোর ধর্ম ও প্রকৃতি ভিন্ন হয়, যা আমরা বিভিন্ন নামে প্রকাশ করি। কখনো এটি বেগুনী রঙ, কখনো নীল আবার কখনো লাল রঙ হিসেবে বিবেচিত। একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গসীমার মধ্যকার তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ আমরা চোখে দেখতে পায় যাকে দৃশ্যমান আলো বলা হয়। বর্ণালীতে ৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গসীমার মধ্যকার তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হলো দৃশ্যমান আলো। এই সীমার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘের সাতটি রঙ আছে যা বেনিআসহকলা নামে পরিচিত। এই সীমার বাইরের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ভিন্ন নামে পরিচিত। অর্থাৎ দৃশ্যমান আলোক কণার সাথে অন্যান্য তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যগত কিছু মিল আছে। শুধু তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের ধর্ম ও প্রকৃতি ভিন্ন। উদাহরণ হিসেবে অতিবেগুনী রশ্মি, অবলোহিত রশ্মি, মাইক্রো তরঙ্গ, রেডিও তরঙ্গের কথা বলা যায়। এএম (অগ) রেডিওর জন্য প্রয়োজনীয় রেডিও তরঙ্গের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি, প্রায় আধা মাইল। এজন্য রেডিও এন্টেনা কয়েক তলা ভবনের সমান লম্বা হয়। অন্যদিকে এক্সরে তরঙ্গ অনেক বেশি ক্ষুদ্র, রেডিও তরঙ্গ থেকে এক ট্রিলিয়ন ছোট। ফলে এক্সরে তরঙ্গ খুব সহজে দেহ ভেদ করতে পারে। 

দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মোটামুটি মধ্যম সারির, ০.০০০০০০৪ মিটার (৪০০ ন্যানোমিটার) থেকে ০.০০০০০০৭ মিটার (৭০০ ন্যানোমিটার)। নীল বর্ণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে নীল থেকে লাল আলোর মধ্যবর্তী তরঙ্গদৈর্ঘ্যে অন্যান্য বর্ণ প্রদর্শিত হয় এবং এগুলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দৃশ্যমান হয়। ফলে পূর্ব আকাশের রংধনুতে পর্যায়ক্রমে সাতটি রঙ সুসজ্জিত অবস্থায় দৃশ্যমান হয়। রংধনুতে আলোক বর্ণ নীল থেকে লাল বর্ণে সজ্জিত থাকে। আমরা খুব সহজে দৃশ্যমান তরঙ্গসীমার আলো দেখতে পায়। আমাদের চোখে ফটোরিসেপ্টর (photoreceptor) নামক এক প্রকার প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন দৃশ্যমান তরঙ্গসীমার তড়িৎচুম্বকীয় শক্তি কিভাবে শোষণ করতে হয় তার কৌশল জানে। অনেকটা এন্টেনা যেভাবে বেতার তরঙ্গ গ্রহণ করে তার মতো।

আমাদের চোখের গোলাকার মনির পিছনের স্তর হলো রেটিনা। রেটিনা স্তরে স্তুরে সজ্জিত ফটোরিসেপ্টর দিয়ে আবৃত থাকে। অনেকটা ফ্লাট স্ক্রিন টেলিভিশনের লাইট এমিটিং ডায়োড বা ডিজিটাল ক্যামেরার সেন্সরের মতো। রেটিনার প্রতিটি বিন্দুতে রড বা কোণ নামক ফটোরিসেপ্টর থাকে। রড বা কোষ এক প্রকার কোষ, তাই অনেক সময় রড বা কোণের আলোচনায় রড কোষ বা কোণ কোষ বলে প্রকাশ করা হয়। রড কোষ সকল আলোর প্রতি সংবেদনশীল। অন্যদিকে কোণ কোষ আলোর বিভিন্ন রং বা বর্ণের প্রতি সংবেদনশীল। কোণ বা রড কোষের উপর আলো পড়লে তারা আলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। মানুষের রেটিনায় ১২৫ মিলিয়ন রড কোষ ও ৬ মিলিয়ন কোণ কোষ থাকে। এর আকার আনুমানিক একটি পাসপোর্ট আকারের ছবির সমান এবং ১৩০ মেগাপিক্সেল রেজুলেশনের ডিজিটাল ক্যামেরার সমতুল্য। এমন ক্ষুদ্র জায়গায় বিশাল সংখ্যক রিসেপ্টর থাকায় আমাদের দেখার রেজুলেশন ক্ষমতা অনেক বেশি। অন্যান্য যন্ত্রের সাথে তুলনা করলে আমাদের চোখের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ ক্ষমতা বিশিষ্ট আউটডোর এলইডি ডিসপ্লের প্রতি বর্গমিটারে ১০,০০০ এলইডি থাকে এবং একটি সাধারণ মানের ক্যামেরার রেজুলেশন ৮ মেগাপিক্সেলের মতো।

রড কোষ আলোর প্রতি অধিক সংবেদনশীল। এর মাধ্যমে আমরা রাতে এবং স্বল্প আলোতে দেখতে পায়। তবে রড কোষ আলোর রং নির্ধারণ করে না। কোণ কোষ উজ্জ্বল আলোতে বিভিন্ন রঙ দেখায়। কোণ কোষ আলোর তিনটি রঙ (লাল, সবুজ ও নীল) প্রকাশ করে। তাহলে প্রশ্ন হলো একই স্থানে অবস্থান করেও কোষ দুইটি ভিন্ন ধর্ম প্রদর্শন করে কেন? মূলত রড ও কোণ কোষ গঠনকারী রাসায়নিক উপাদানের ভিন্নতার কারনে এমনটি হয়ে থাকে। রড কোষ রডোপসিন এবং কোণ কোষ ফটোপসিন নামক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে গঠিত। এই সকল উপাদানের রাসায়নিক গঠন তাদেরকে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণক্ষম করে। রডোপসিন এবং নীল ফটোপসিন নীল আলো শোষণ করে। রডোপসিন ও লাল ফটোপসিন লাল আলো শোষণ করে। রডোপসিন, নীল ফটোপসিন ও লাল ফটোপসিন বেগুনি আলো শোষণ করে। এভাবে বিভিন্ন আলো বিভিন্নভাবে রডোপসিন ও ফটোপসিন কর্তৃক শোষিত হয়। রড ও কোণ কোষ আলো শোষণ করার পর তা সংকেত আকারে মষিÍষ্কে প্রেরণ করে। এভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ফটোরিসেপ্টর থেকে প্রেরিত সংকেত মস্তিষ্কে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একটি প্রতিচ্ছবি গঠিত হয় যা আমরা দেখতে পায়।

এর কোনো একটি ধাপের ত্রুটি হলে মানুষ বর্ণান্ধ হয়। পুরো পক্রিয়ার যে কোনো স্তরে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। শারিরীক সমস্যার কারণে রেটিনা কর্তৃক আলোক সংবেদনশীলতা হ্রাস পেতে পারে, রডোপসিন বা ফটোপসিনের ত্রুটির কারণে আলোর প্রতি সংবেদনশীল ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে অথবা মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণ ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। অনেক সময় মানুষ কোনো একটি নির্দিষ্ট বর্ণের প্রতি বর্ণান্ধ হয়ে থাকে। ফটোরিসেপ্টর জনিত ত্রুটির কারণে এমন হয়ে থাকে। যেমন, লাল আলোর প্রতি বর্ণান্ধ মানুষের রেটিনায় লাল কোণ কোষ অনুপস্থিত থাকে বা অক্ষম হয়। ফলে লাল রঙের সংকেত গৃহিত এবং মস্তিষ্কে প্রেরিত হয় না। মানুষের দর্শন প্রক্রিয়া আলো শোষণকারী কোষ এবং মস্তিষ্কের সাথে জড়িত। তাহলে, উদ্ভিদ দেহে কী ঘটে?

সূত্রঃ ‘গাছেরা কেমনে কথা কয়?’ ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিতব্য বই। What a plant knows বইয়ের আলোকে রফিকুল ইসলামের রচনা।

 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.