-->

ওরিয়নের সফল প্রত্যাবর্তন, চাঁদের বুকে আবার মানুষের পদচিহ্ন

১৯৬৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটেছিল এক বিষ্ময়কর ঘটনা। এই নীল গ্রহের উপগ্রহে চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণ করে প্রথম মানব। এরপর চাঁদ নিয়ে চলেছে অসংখ্য গবেষণা। ১৯৭২ সালে সর্বশেষ চাঁদে মানুষ হেঁটেছিল। কেঁটে গেছে ৫০ বছর। 


তাহলে কী আর কখনো চাঁদে মানুষ যেতে পারবে না। তাহলে কী পৃথিবী ছেড়ে চাঁদে বাস করার পরিকল্পনা নিছক স্বপ্ন। বিষয়টি তা নয়। চাঁদে মানুষ প্রেরণের প্রচেষ্টা থেমে নেই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালে চাঁদে সফলভাবে মানুষ প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পুনরায় চাঁদে মানুষ পাঠাতে নাসার নতুন এই প্রজেক্টের নাম আর্টেমিস।

গবেষণার অংশ হিসেবে চাঁদের কক্ষপথে ওরিয়ন প্রেরণ করে নাসা। চাঁদের কক্ষপথে প্রায় ২৬ দিনের মিশন শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে ওরিয়ন।ওরিয়ন ছিলো বিজ্ঞানীদের পরীক্ষামূলক অভিযান। ওরিয়ন নভোযান দিয়ে আরও জটিল মিশনের পরিকল্পনা করছে নাসা।

ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত ১৬ নভেম্বর ওরিয়ন যাত্রা শুরু করে। ২৫ দিনে ওরিয়ন ১.৪ মিলিয়ন মাইল পথ অতিক্রম করে। চাঁদ থেকে ৮০ মাইল দুরে কক্ষপথে অবস্থান শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসে। 

 পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময় ওরিয়ন ক্যাপসুলে আগুন ধরে যায়। পরে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়ে। প্যারাসুটের কারণে শেষ দিকে মন্থর গতিতে নেমে আসে নভোযানটি।

ওরিয়নে কোনো মানুষ ছিল না। তবে নভোযানটিতে কম্পাঙ্ক এবং বিকিরণ সনাক্ত করার জন্য তিনটি ডামি যন্ত্র সংযুক্ত ছিল। মূলত ওরিয়ন প্রেরণের মধ্য দিয়ে পুনরায় চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রাথমিক অভিযান আর্টেমিস-১ এর সফল যাত্রা শুরু হলো। ১১ ডিসেম্বর ১৯৭২ অ্যাপোলো-১৭ এর দুজন নভোচারী ইউগিন কারনান ও হ্যারিস স্মিথ চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটেন। তারা তিনদিন চাঁদে অবস্থান করেন। এর মাধ্যমে ১২ জন মানুষ চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণের গৌরব অর্জন করেন।

ওরিয়নের প্রত্যবর্তনের মধ্যে পুনরায় চাঁদে মানুষ প্রেরণের গবেষণা ফলপ্রসূ হবে। গবেষণার ধারাবাহিকতা পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে ২০২৫ সালে আর্টেমিস-৩ এর মাধ্যমে পুনরায় চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোচারীরা হাঁটবে।  

সূত্রঃ বিবিস, সায়েন্স, ডয়চে ভ্যালে

 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.