-->

ভেজাল এমওপি সার চেনার উপায় !


ফসল আবাদে যে কয়টি সার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার একটি এমওপি। মূলত গাছের জন্য প্রয়োজনীয় মূখ্য উপাদানের একটি পটাশিয়াম। ফসল উৎপাদনের জন্য পটাশিয়ামের যোগান হিসেবে মিওরেট অব পটাশ সার জনপ্রিয়। বছরব্যাপী বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষক ভাইয়েরা প্রচুর পরিমাণে পটাশ সার ব্যবহার করে থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল এমওপি সার বিক্রয় করে থাকে।

ভেজাল এমওপি সার চেনার উপায়

১। ভালো এমওপি সার সাধারণত শুষ্ক হয়। ঝুরঝুরে এমওপি সারে হাত দিলে দলা বাঁধবে না।

২। আধা গ্লাস পানিতে ৫ চা চামচ এমওপি সার ভালোভাবে মিশ্রিত করলে পাঁচ মিনিট পর গ্লাসের গায়ে হাত দিলে খুব ঠান্ডা অনুভূত হবে। যদি অধিক লবণ বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দিয়ে এমওপি ভেজাল করা হলে কম ঠান্ডা অনুভূত হবে।

৩। একটি স্বচ্ছ পানির গ্লাসে আধা চা চামচ এমওপি সার মিশ্রিত করলে ভালো হলে সম্পূর্ণরূপে মিশে যাবে অর্থাৎ সমসত্ত্ব মিশ্রণ হবে। অন্যদিকে সারের সাথে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন বালি, কাঁচের গুড়া, মিহি, সাদা পাথর, ইটের গুড়া ইত্যাদি মেশালে তলানি পড়বে।

৪। যেহেতু এমওপি সারের রঙ লাল, সেহেতু অনেক সময় মাটি বা অন্য পদার্থের সাথে রঙ মিশিয়ে একটি অসাধু চক্র ভেজাল এমওপি সার তৈরী করে। রঙ মেশানো যাচাইয়ের জন্য সারের নমুনা পানিতে মেশালে রঙ ভেসে উঠে এবং হাতে রঙ লেগে যায়। পানির গ্লাসে ভালো এমওপি সার নিলে তার দ্রবণটি স্বচ্ছ এবং হালকা লাল রঙ এর হবে । হাতের আঙুল বা টিস্যু পেপাড় গ্লাসের পানিতে ডুবালে কোনো রঙ লাগবে না।

৫। সামান্য কিছু এমওপি সার সারারত খোলা অবস্থায় রেখে দিলে যদি ভিজে উঠে তবে ধারণা করা যেতে পারে লবণ মেশানো হয়েছে। ভালো এমওপি সার হলে বাতাসের সংস্পর্শে ভিজে উঠবে না।

ফসলের সর্বোচ্চ ফলন লাভের আশায় সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। সুষম সারের নির্দেশনায় উল্লেখিত পরিমিত মাত্রায় ভালো এমওপি সার প্রয়োগ করলে ফসলের কাঙ্খিত ফলন পাওয়া সম্ভব।

তথ্য সূত্রঃ সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের পদ্ধতি, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট


Blogger দ্বারা পরিচালিত.