করোনা সংকটে কৃষি সমৃদ্ধির টেকসই ভাবনা
মোঃ রফিকুল ইসলাম
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সমৃদ্ধি লাভে কৃষিকে টেকসই ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করার কোনো বিকল্প নেই। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দুর্যোগ আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবতে শেখাচ্ছে। প্রতিবছর বন্যা, খরা, জলোচ্ছাসের সাথে এবছর করোনাভাইরাস আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে গতিহীন করে তুলেছে। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষ আজ দিশেহারা। প্রতিদিনের তথ্য আমাদের হতভম্ব করে। একদিকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, অন্যদিকে স্থবির জীবন ব্যবস্থা আমাদেরকে অতিষ্ট করে ফেলছে। অর্থনীতিবিদরা হিসেব কষছেন করোনাভাইরাস পরবর্তী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে। এটা নিশ্চিত যে আগামী বিশ্ব বড় ধরণের অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবারহ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে করোনা মহামারী বিশ্ব সভ্যতাকে নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। করোনা পরবর্তী জীবন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। খাদ্য দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কারণ মানুষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও সরবারহ নিশ্চিত করতে না পারলে সামনে খাদ্য দুর্ভিক্ষ হতে পারে। আর খাদ্য দুর্ভিক্ষ হলে মহামারী করোনার চেয়ে বড় ক্ষতি হবে। তাই এই সময়ে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও নতুন নতুন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন অতীব জরুরী। তাই অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ সরকার কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বহুল পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সারা দেশে বোরো ধান কাটতে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার দেখতে পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাওরের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে ধান কাটার যন্ত্র বিক্রয় করেছে। এছাড়াও সারা দেশের কৃষকদের মাঝে সার, বীজ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তাগণ এই দুর্যোগকালীন সময়েই কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করছেন। একদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা বিতরণ, অন্যদিকে কৃষকদের বিভিন্ন ফসল আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত কৃষি বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে এই দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের বসতবাড়িতে সবজি উৎপাদনে নতুন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষক যেমন মাঠ ফসল উৎপাদনে সচেতন, তেমনিভাবে বসতবাড়ির পতিত জমির সঠিক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সরকারের কৃষি বিভাগ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। তবে আমাদের প্রত্যেকর নিজ নিজ অবস্থান থেকে চাষের আওতায় আসা উচিত। বিষয়টি এমন মনে হতে পারে সবাইকে কৃষক হতে বলা হচ্ছে। আসলে তা নয়। কারণ আমাদের প্রত্যেকের খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার কৃষি পণ্য ক্রয় করতে হয়। বাজার থেকে কৃষি পণ্য ক্রয় করার পাশপাশি নিজেদেরকে ফসল উৎপাদেন সামান্য হলেও অবদান রাখতে হবে। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের বসতবাড়ি চাষের আওতায় নেই। অন্যদিকে শহরের মানুষ তাদের চাষের জমি নেই বলে চাইলেও চাষাবাদ করতে পারে না। তবে কৃষি প্রযুক্তির ধারায় এখন বহু প্রযুক্তি এসেছে যার মাধ্যমে আমরা বসতবাড়ি, ভবনরে ছাদ, দেয়াল, ব্যালকনিতে চাষাবাদ করতে পারি। শহরের ছাদ বাগানগুলো এখন বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদনে আমরা তা লক্ষ্য করেছি। একদিকে জমির অপ্রতুলতা, নিরাপদ ফসলের প্রতি মানুষের চাহিদা আমাদেরকে বসতবাড়িতে ফসল চাষাবাদে নতুনভাবে আগ্রহী করে তুলেছে।
খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত
রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে আমাদের নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
কারণ ইতিপূর্বে আমরা কখনো এমন মহামারীর মুখোমুখি হয় নি। আশার কথা হলো বাংলাদেশে কৃষির
অপার সম্ভাবনা রয়েছে। উর্বর মাটি, বৈচিত্রময় ফসল উৎপাদন আমাদেরকে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন
দেখায়। আগামীতে টেকসই কৃষি গড়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজন কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে জমির সঠিক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কৃষক
পর্যায়ে সঠিক প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে অবশ্যই আমাদের খাদ্য দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি
হতে হবে না। এ লক্ষ্য প্রণয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরী।
১) খাদ্য সংকট মোকাবেলায়
সকল জমির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অঞ্চলভেদে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, পতিত জমি চাষাবাদের
আওতায় নিয়ে আসা, বসতবাড়িতে শাকসবজি ও ফলমূল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। মাঠ ফসলের
পাশাপাশি বসতবাড়ির চারপাশ, পুকুর পাড়, পতিত জমিতে স্বল্প পরিসরে হলেও আধুনিক প্রযুক্তি
নির্ভর শাকসবজি, ফলমূল চাষাবাদ করতে হবে।
২) আমদানি নির্ভর ফসল
বিশেষ করে মসলা, ডাল ও তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি বিজ্ঞানীদের গবেষণা
লব্ধ জাত ও প্রযুক্তি অধিক হারে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইতিমধ্যে সরকার
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এসকল ফসল উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অধিক মাত্রায়
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ, সার প্রণোদনা আকারে সরবারহ করা
যেতে পারে।
২) কৃষকের মাঝে আধুনিক
প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উন্নত জাত সরবারহ নিশ্চিতকরণে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে
সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। পতিত ও বসতবাড়ির জমির সঠিক ব্যবহারে প্রকৃত কৃষকদের
মাঝে বীজ, সার প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।
৩) অঞ্চল ভিত্তিক ফসল
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রপ জোনিং গড়ে তুলতে হবে। নির্দিষ্ট অঞ্চলের ফসল অন্য অঞ্চলে পৌছানো ও বিপণনের লক্ষ্যে টেকসই পরিকল্পনা
প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারের সাম্প্রতিক বাস্তবায়িত অনলাইনে মার্কেটে অধিক
সংখ্যক কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে হবে।
৪) প্রতিটি অঞ্চলের
উদ্যোগী কৃষকদের নিয়ে ফসল ভিত্তিক কৃষক গ্রুপ নির্বাচন করতে হবে। এই সকল কৃষক গ্রুপকে
উন্নতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে। এ সকল কৃষকদের
উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের সুযোগ করে দিতে হবে। রাজধানী শহরের বড় বড় ব্যাবসায়ী,
সুপার শপ ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পণ্য বিপণন ও সঠিক দাম প্রাপ্তি
নিশ্চিত করা সম্ভব।
৫) সম্ভব হলে সুপার
শপ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি কৃষক গ্রুপের
সাথে যুক্ত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের সাথে চু্ক্তিবদ্ধ হবে
ও মূল্য নিশ্চিত করবে। কৃষক সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ফসল উৎপাদন করবে। কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া তদারকি করবে।
৬) ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে
নিরাপদ ফসল একটি বিবেচ্য বিষয়। এটি নিশ্চিত করতে জৈব সার, জৈব বালাই ও কীটনাশকের ব্যবহার
বৃদ্ধি করতে হবে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্যাপক আকারে
কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কৃষক পর্যায়ে ভার্মিকম্পোস্ট ও ট্রাইকোকম্পোস্ট বেশ জনপ্রিয়
হয়েছে। অসংখ্য কৃষক নিজেরা এই জৈব সার উৎপাদন
ও ব্যবহার করছে। তদুপরি বাজারে জৈব সারের সরবারহ বৃদ্ধি করতে হবে। পাশপাশি জৈব বালাইনাশক
উৎপাদনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষককে সম্পৃক্ত করতে হবে। কৃষককে দক্ষ করতে
পারলে তারা সহজে প্রাপ্য নীম পাতা, মেহগনি বীজ, সজিনা পাতা, আদা, হলুদ প্রভৃতি দিয়ে
সহজে জৈব বালাইনাশক তৈরি ও ব্যবহার করতে পারবে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত
একজন উদ্যোগী কৃষককে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। অন্যদিকে অধিকমাত্রায় রাসায়নিক
কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার রোধে তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অধিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
পরামর্শ পত্র ব্যাতীত কোনো কীটনাশক ও বালাইনাশক
বিক্রয় করা যাবে না এমন আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ
করা জরুরী। এতে করে যেনতেনভাবে অপ্রয়োজনীয় ও
প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাসায়নিক বালাইনাশক ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে। পাশাপাশি
বাজারে প্রাপ্য জৈব সার ও বালাইনাশকের সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি ও পরীক্ষা
নিশ্চিত করতে হবে।
৭) কৃষকদের উৎপাদিত
পণ্যের সঠিক মূল্য প্রাপ্তি কৃষি পণ্য বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। এ লক্ষ্যে
বহুবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায়
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাস্তবায়িত কৃষকের বাজারের আদলে কৃষি পণ্য সেল সেন্টার
গড়ে তুলতে হবে। কৃষক গ্রুপ থেকে উদ্যোক্তারা সেল সেন্টার পরিচালনা করবেন। এই সকল সেল
সেন্টার থেকে স্থানীয়ভাবে পণ্য বিক্রয়ের পাশাপাশি দূর বাজারে পণ্য সরবরাহ করা যেতে
পারে।
৮) কৃষকদের কৃষি পণ্য
প্রক্রিয়াজাতকরণে দক্ষ করে তুলতে হবে। এতে করে বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের
মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কৃষক গ্রুপ থেকে
প্রক্রিয়াজাত পণ্য ক্রয় করতে পারবে। এতে করে বিনষ্ট কৃষি পণ্যের বিশাল অংশ (বিশেষ করে
আম, কাঁঠাল, পেঁপে, বেগুন প্রভৃতি) সরাসরি লাভজনক খাতে যুক্ত হবে। অন্যদিকে কৃষক স্বাবলম্বি
হবে ও স্থানীয়ভাবে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে উঠবে।
৯) কৃষি পণ্য উৎপাদন
শেষে পণ্যের মূল্য পাওয়া কৃষকদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। মৌসুমে ফসলের দাম কম
থাকে, অন্যদিকে অফ-সিজনে কৃষি পণ্যের দাম অত্যাধিক থাকে। এতে করে কৃষির মূল উৎপাদনকারী
কৃষক প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি বিভিন্ন কৃষি পণ্যের বিক্রয় মূল্য উৎপাদন
ব্যায় অপেক্ষা কম হয়। এতে করে কৃষক নিরুৎসাহী রোধে। কৃষির অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখতে
কৃষককে প্রকৃত মূল্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি পণ্য উৎপাদন পর্যালোচনা করে ফসলের দাম
নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক প্রতিনিধি, কৃষি ব্যবসায়ী,
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টিম গঠন করা যেতে পারে। প্রশাসন
মূল্য নির্ধারণ ও তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর ফলে কৃষক
তার উৎপাদিত পণ্যের প্রকৃত মূল্য পাবে।
১০) প্রান্তিক পর্যায়ে
কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করতে হবে। ইতোমধ্যে এই খাতে সরকারের অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণর অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেছে।
এর অভাবনীয় সাফল্য দেখেছি আমরা হাওর অঞ্চলের ধান কর্তনে। এই ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি
অধিক সংখ্যক কৃষক যেন কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের আওতায় আসতে পারে সেদিকে অধিক খেয়াল
রাখতে হবে।
এককথায় বাংলাদেশের অগ্রসর
এই কৃষি খাতকে অধিক মাত্রায় সমৃদ্ধ করতে বহুমুখি পরিকল্পনা নেয়া যেতে পারে। সরকারের
বিভিন্ন পরিকল্পনা ইতিমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মানুষের জীবনযাত্রার
পরিবর্তনের সাথে সাথে এসেছে বহুবিধ পরিকল্পনা। কৃষি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে আহরণে
আমাদের বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজ হাতে নিতে হবে। কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষক বান্ধব বিভিন্ন
পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আগামীর প্রতিটি পরিকল্পনা আমাদের জন্য আশির্বাদ
হয়ে আসবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত হবে দেশের কৃষি ।
লেখকঃ বিজ্ঞানকর্মী ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
লেখকঃ বিজ্ঞানকর্মী ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর